價格:免費
更新日期:2017-09-15
檔案大小:3.0M
目前版本:1.2.1
版本需求:Android 4.1 以上版本
官方網站:mailto:jusnamal@gmail.com
ঘুমিয়ে থাকার সময় নাক ডাকা পাশের মানুষটার জন্য বিরক্তিকর। খুবই সাধারণ একটা সমস্যা যা বয়স, লিঙ্গ ভেদে অনেকের মধ্যে দেখা যায়। বয়সের সঙ্গে নাক ডাকা বেড়ে যায়। তখন এটা শুধু আপনার সঙ্গীর জন্য বিরক্তিকর হবে তা নয়, আপনি নিজেই বিরক্ত হয়ে যাবেন।
নাক ডাকা এক ধরণের রোগ। তাই এটা বন্ধ করা জরুরি। নাক ডাকা বন্ধে টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা
অনেক সময় বাতাস শুষ্ক থাকলে নাক ডাকে মানুষ। নাকের পর্দা ও গলা শুকিয়ে যায় যা বাতাস চলাচলে সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে হিউমিডিফায়ার নামে একটি যন্ত্র আছে যা ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখে সেটি সঙ্গে রাখতে পারেন।
ওজন কমান
অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার কারণ হতে পারে। আপনার শরীর স্থূলকায় হলে গলার কাছে অতিরিক্ত টিস্যু তৈরি হয় যার ফলে বাতাস চলাচলে বাধা পায়। কম্পন তৈরি হয়। এর ফলে শুরু হয় নাক ডাকা।
প্রাণায়াম চর্চা করুন
প্রাণায়াম হচ্ছে এক ধরণের যোগাসন। এর চর্চার কারণে আপনি নিজের নিশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাণায়াম চর্চা করে আপনি দীর্ঘ শ্বাস ও ছোট ছোট করে শ্বাস নেওয়া শিখতে পারবেন। যাতে আপনার ফুসফুসে সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন যাচ্ছে কিনা নিশ্চিত করতে পারবেন। শরীরে রক্ত চলাচল নিশ্চিত হয়। আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হবে এতে। নিয়মিত প্রাণায়াম চর্চায় আপনি নিজের মধ্যে শক্তি ও উদ্যম খুঁজে পাবেন।
জিহবা ও গলার ব্যায়াম
আপনার জিহবা ও গলার পেশি শক্তিশালী করে তুললে নাক ডাকা বন্ধ হতে সাহায্য করবে। যখন আপনি ব্যায়াম করবেন তখন আপনার এ পেশীগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ পেশীর স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। ফলে ঘুমের মধ্যে এই পেশি বাতাস চলাচলে বাধা দেয়।
সিগারেট বা বিড়ি খাওয়া বন্ধ করতে হবে
সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেট আপনার নাক ডাকার কারণ হতে পারে। এর ধোঁয়া আপনার বাতাস সহজে চলাচল করতে দেয় না।
বিছানা থেকে মাথা উঁচু করে ঘুমাবেন
ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে এমন হয় যে আপনার জিহবা শ্বাসনালীর উপরে পড়ে যায়। এর ফলে নাক ডাকা শুরু হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি এড়াতে মাথার নিচে বালিশ উচু করে নিয়ে ঘুমাতে হবে।
ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল নয়
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালকোহল খাবেন না। এতে আপনার পেশির শক্তি নমনীয় হয়ে যায়। জিহবা শ্বাসনালীর ওপর পড়ে যায় এবং নাক ডাকা শুরু হয়।
বালিশ ঠিক করুন
আপনি যে বালিশ ঘুমানোর সময় ব্যবহার করছেন তা যেন খুব বেশি উচু বা নিচু না হয়। বালিশ অতিরিক্ত উচু হলেও তা শ্বাস নেওয়ার সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। আবার নিচু হলেও শ্বাসনালীতে বাধা পেয়ে নাক ডাকা শুরু হয়ে যেতে পারে।
হলুদ ও দুধ
এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে ২ চা চামচ হলুদ গুড়া প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খেলে নাক ডাকা বন্ধ হবে।
বাটার অয়েল
নাকের প্রবেশপথে বাটার অয়েল দিয়ে ঘুমালে আপনার প্রশান্তির ঘুম হবে এবং নাক ডাকাও বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রাহ্মীর তেলও ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে এটা নাকে লাগাতে পারেন।
এলাচীর গুড়া
এক গ্লাস গরম পানিতে আধা টেবিল চামচ এলাচীর গুড়া মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। এটা নাক ডাকা বন্ধে সাহায্য করবে।
তবে অতিরিক্ত নাক ডাকা ভালো লক্ষণ নয়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্যও মানুষ নাক ডাকে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।